” পবিত্র পাথরে চুমু খাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে”

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের নিরাপত্তা প্রহরী কুড়িগ্রামের আবদুল খালেক। বয়স প্রায় ৫৫ বছর। তিনি রাষ্ট্রীয় খরচে হজ করতে ৯ জুলাই পূণ্যভূমি সৌদি আরব এসেছেন।

তিনি বলেন, বহুদিনের আশা ছিল হজে আসবো। হজে এসে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সুযোগ বুঝে পাথরে চুমু খেয়ে স্বপ্ন পূরণ করেছি।

সোমবার সকালে ১০ রিয়াল পরিশোধ করে তিনি জিয়ারত করতে বের হন। আরাফাত ময়দানে বাস থামার আগে বাসের গাইড মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) বিদায় হজের ভাষণস্থল জাবালে রহমত পাহাড়ের ওপরে না উঠতে অনুরোধ করেন।

তিনি ঘোরাফেরার জন্য মাত্র ১০ মিনিট সময় বেধে দেন। বাস থামতেই দৌঁড়ে নামেন আবদুল খালেক। তিনি গাইডের অনুরোধ উপেক্ষা করে এক দৌঁড়ে যান বিদায় হজের ভাষণস্থলে।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে খালেক বলেন, ইচ্ছা ছিল যদি কখনও আসতে পারি তবে ওখানে উঠে পাথরে চুমু খাবো। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। পাঁচবার ওই পাথরে চুমু দিয়েছি। কথা বলার সময় সে উত্তেজনায় কাঁপছিল। আজ জিয়ারত করতে গিয়ে খালেকের মতো অনেক হজযাত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

তারা জাবালে নূর, আরাফাতের ময়দান মসজিদুল খায়েফ, মিনা, মুজদালিফা, জামারাত ও জান্নাতুল মোয়াল্লাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনকালে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় ও এ সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রংপুরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, বইয়ে পড়া স্থানগুলো আজ সরেজমিনে দেখতে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে। দারোয়ানের চাকরি করে এইখানে আসতে পারবো কল্পনাও করতে পারিনি বলে তিনি মন্তব্য করেন।